বাঙালি মানেই ঝালে ঝোলে অম্বলে, কিন্তু তার মধ্যেও আপনি কি ঝাল একটু বেশি ভালোবাসেন? ঝাল ছাড়া কোনও কিছুর স্বাদ পান না? তা হলে নিশ্চই আপনি লঙ্কার পাশাপাশি গোলমরিচেরও ভক্ত! অনেকে তো বলেন গোলমরিচের স্বাদটাই আলাদা। জ্বরের মুখে আলু মরিচ বা বাটার টোস্টে গোলমরিচের গুঁড়ো-খেতে ভালোবাসেন না,এমন লোকের দেখা পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু শুধুই কি স্বাদ? উপকারের দিক থেকেও তো এর জুড়ি মেলা ভার। মিশকালো গোলমরিচের ওষধি গুণ শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
জানুন ঠিক কী কী বিশেষ গুণ আছে এই গোলমরিচের……
অতিরিক্ত ওজন তো আজকাল প্রায় অনেকেরই সমস্যা। শরীর থেকে বাড়তি ফ্যাট টেনে নিতে গরমজলে গোলমরিচ খুব উপকারী। ক্যালোরি পুড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে গোলমরিচ। ঠান্ডা লাগলে গরম দুধে গোলমরিচ কষ্ট থেকে উপশম দেয়। যাদের প্রায়ই ঠান্ডা লাগে বা হাঁচি হয় ঘন ঘন,তাঁরা যদি কয়েকটা গোলমরিচ রোজ চিবিয়ে খেয়ে নেন,উপকার পাবেনই পাবেন। কচি নিমপাতার সঙ্গে তিন চারটি গোলমরিচ সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেলে সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আপনার কি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে? সকালবেলা অনেকটা সময় যুদ্ধ করতে হয়? এক কাপ হালকা গরম জলে লেবুর রস আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে টানা কদিন খেলে গ্যাস-এর সমস্যা কমে। কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়।
আপনার যদি ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থাকে,আপনাকে মৃদু গরম জলের সঙ্গে গোলমরিচ খেতেই হবে। ফলে শরীরে ক্লান্তি জমতে পারে না। গোলমরিচ আমাদের ত্বক মসৃন রাখে।
খুব হালকা গরম জলে গোলমরিচের গুঁড়ো ফেলে একটু নেড়ে নিয়ে হালকা হালকা চুমুক দিয়ে খেলে শরীরে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়। শরীরে জলের মাত্রা কমতে পারে না। সকাল বেলা এটা যদি খেয়ে নেন,আপনি সারা দিন মুক্তি পাবেন অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে।
এতগুলো সুফল যখন আছেই, তখন আর দেরি না করে গোল গোল ছোট দানাগুলোকে সকাল থেকেই সঙ্গী করে ফেলুন।
Abhijit Roy (verified owner) –
Bhaswati (verified owner) –
Anjali (verified owner) –
Riddhi (verified owner) –