মেয়েটা ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট পাশ করার পর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব যখন ভাবছে এই মেয়ে নিশ্চই বড়সড় কোনো কোম্পানির চাকরিতে জয়েন করবে তখন পাগল মেয়েটা সবার ভাবনাকে নাস্যাৎ করে স্বীদ্ধান্ত নিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট শেখা বিদ্যা দিয়ে ট্র্যাডিশনাল শিল্প “কলমকারি”কে বাংলার তাঁত শিল্পের সাথে মিশিয়ে সে সারা পৃথিবীর কাছে পৌঁছে দেবে।
কলমকারির জন্ম অন্ধপ্রদেশ ও ইরানে। ‘কলমকারি’ কথাটিই জন্ম দুটি পারসিক শব্দের মেলবন্ধনে — কলম (বা ঘলম) ও (অর্থাৎ কারিগরী)। যেই শিল্পে কলমের ব্যবহার হয়, তার নাম কলমকারি। কলমকারির প্রধান বৈশিষ্ট্য তার রেখা। মুঘল আমলে এটা শিল্পের স্বীকৃতি পায় যা অত্যন্ত বিশদ এবং জটিল, সুন্দর এবং মার্জিত নকশার ফল। কলমকারি ডিজাইন এবং রং খুব প্রাণবন্ত এবং উজ্জ্বল হয়। ডিজাইনগুলি সাধারণত কলম ব্যবহার করে করা হয় এবং ভরাট করা হয় হাতে এঁকে। এই লেখার সাথে youtube লিংক দেওয়া আছে, দেখে নিতে পারবেন (https://youtu.be/q6w0zRvriao)।
আমাদের ঘরের মেয়েটা জেদের বশেই এক বন্ধুকে ও কয়েকজন গ্রামীণ কারিগরকে নিয়ে নিজের ইউনিট তৈরী করে ফেলে। মূলত বাংলার তাঁতিদের বোনা সিল্ক ও তসরের থানের ওপর বাংলার নিজের আলপনা শৈলীকে মিশিয়ে নিজেরএকটা আলাদা কলমকারি ঘরানা তৈরী করে ফেলেছে এই মেয়ে। এক একটা শাড়ি তৈরিতে বেশ কয়েকজন শিল্পীর প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লেগে যায়, তাও চেষ্টা করছে দাম যতটা সম্ভব কম রাখা যায়। সিল্কমার্কের জন্য Silk Mark Organisation of Indiaতে প্রয়োজনীয় আবেদন প্রসেসিংয়ে আছে, আর কিছুদিন বাদ থেকে প্রতিটা শাড়িতে সিল্কমার্ক দেওয়া থাকবে। মোবাইলে স্ক্যান করে অরিজিনালিটি দেখে নিতে পারবেন।
পাশে এসে দাঁড়িয়েছে “খাঁটিবাঙালী”। আমরা সারা ভারতে, বাংলাদেশে ও ইউরোপ-আমেরিকায় পৌঁছে দিতে চাই এই শিল্পশৈলীকে। আগ্রহী বাঙালিদের অনুরোধ করছি ৮০১৭১৫৩০০৯ নম্বরে যোগাযোগ করুন সরাসরি ফোন করে বা হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে।
ও হ্যাঁ, মেয়েটার তো নামই জানানো হয়নি! মেয়েটার নাম “মিতালি পারিয়া”